HEIDELBERG CATECHISM_LORD'S DAY NO. 01_QUESTIONS 01~02
2019.05.26 09:58
প্রভুর দিন ১ হাইডেলবার্গ প্রশ্নোত্তর ১। প্রশ্ন: আপনার জীবনে ও মরণে একমাত্র সান্ত্বনা কী? উত্তর: আমি যেন আমার শরীর ও আত্মায়, আমার জীবনে ও মরণে, আমার না হই, কিন্তু আমার
বিশ্বস্ত পরিত্রাতা যীশু খ্রীস্টের হই; যিনি তাঁর বহুমূল্য রক্তের বিনিময়ে আমার সমস্ত
পাপের দেনা সম্পূর্ণরূপে শোধ করেছেন, এবং আমাকে দিয়াবলের সমস্ত ক্ষমতা থেকে উদ্ধার
করেছেন; এবং তিনি আমাকে এমনভাবে রক্ষা করেন যে, আমার স্বর্গীয় পিতার ইচ্ছা ছাড়া আমার
মাথা থেকে একটি চুলও পড়ে না; বাস্তবিক, যাতে সমস্ত বিষয় আমার পরিত্রাণে সহায়ক হয়,
সেই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর পবিত্র আত্মা দ্বারা আমাকে অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা দেন,
এবং এখন থেকে তাঁর জন্য জীবন যাপন করতে আমাকে আন্তরিকভাবে ইচ্ছুক ও প্রস্তুত করেন। ২। প্রশ্ন: আপনাকে এই সান্ত্বনায় আনন্দ সহকারে বাঁচতে ও
মরতে হলে, কতগুলি বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন? উত্তর: তিনটি বিষয় আমার জানা প্রয়োজন: প্রথমত, আমার পাপ ও দুর্দশা কত মহৎ; দ্বিতীয়ত,
আমার পাপ ও দুর্দশা থেকে আমি কীভাবে উদ্ধার পেয়েছি; তৃতীয়ত, এমন উদ্ধারের জন্য আমি
কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হব।
শাস্ত্রপাঠ: আদিপুস্তক ১-১১; ইব্রীয় ২:১৪-১৮; তীত ২:১১-১৪ প্রশ্নোত্তর এমন একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু হয়েছে, যা আমাদের
প্রত্যেকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা উপলব্ধি করি বা না করি, আমাদের
প্রত্যেকরেই সান্ত্বনা প্রয়োজন। আমাদের সান্ত্বনার প্রয়োজন, যেহেতু আমরা আদম ও
হবার বংশধর। তাঁদের বংশধর হওয়ায়, আমরা (যদিও আমরা সে বিষয়ে অজ্ঞান হতে পারি) পাপ ও
দুর্দশার পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থান করি। আমরা যদি বাইবেলের প্রথম অধ্যায়গুলিতে ফিরে যাই (আদিপুস্তক
১-৬ অধ্যায়), আমরা মানুষের সৃষ্টি সম্বন্ধে এবং তারপরে তার পাপে পতনের কথা পাঠ
করি। আদম ও হবা যখন ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছিলেন, তখন গভীর পরিবর্তন সাধিত
হয়েছিল। ঈশ্বর তাঁদেরকে এদেন উদ্যান থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের বৈশিষ্ট্যে
পাপপূর্ণ হয়েছিলেন। পৃথিবীতে পাপ গুণিতক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। অপরাধ ও বিধানলঙ্ঘন
শুরু হয়েছিল। পৃথিবী ভয়ঙ্কর স্থানে পরিণত হয়েছিল। আর শেষে, হিংসা, কিংবা
রোগব্যধি, কিংবা বয়সের ভারে সমস্ত মানুষ মরতে বাধ্য হয়েছিল। অন্যভাবে বলা যায়,
বাইবেলের প্রথম ৬টি অধ্যায়ে, ঈশ্বর আমাদের বলছেন, আমরা ‘পৃথিবীতে স্বর্গের’ (এদেন
উদ্যান) ন্যায় কিছু বিষয় হারিয়েছিলাম, এবং নিজেদেরকে সেই পৃথিবীতে দেখতে
পেয়েছিলাম, যা নরকের সঙ্গে সাদৃশ্য লাভ করতে শুরু করে। আমরা কখনও আমাদের বিষয়
উপলব্ধি করতে পারব না, যদি না আমরা যা ঘটেছে, তাকে পূর্ণ মাত্রায় স্বীকার করি। আজ
আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, তা নোহের পূর্ববর্তী সময়, যার শেষে মহাজলপ্লাবন
এসেছিল, সেই সময় থেকে কয়েকটি বিষয়ে উত্তম। এর কারণ হল, সেই সময় থেকে পৃথিবীতে
মন্দের ক্ষমতাকে দমন করতে ও তা থেকে উৎপন্ন দুর্দশাকে দমন করতে ঈশ্বর মানবজাতিকে
কয়েকটি বিষয় দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি বিষয় হল, ঈশ্বর ভাষার বিভিন্নতার দ্বারা
মানবজাতিকে বিভক্ত করেছেন (আদিপুস্তক ১১ অধ্যায়)। এর কারণে, মন্দের পূর্ণ বিকাশে সম্পূর্ণ ঐক্য এখন আর নেই। বিভিন্ন
জাতি মন্দতায় ঐক্যবদ্ধ না হয়ে, বিভিন্ন দলে একে অন্যের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার লড়াই
চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তাদের হাতে ঈশ্বর খড়গের ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন, যেন
মন্দতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তারা দমন করে, সেই ক্ষমতা তাদের না থাকলে এই দমন
সম্ভব ছিল না। এই কারণে আমরা মন্দের আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে দেশের মধ্যে পুলিশদের
উপস্থিতি, জাতীয় সৈন্যবাহিনী বা নৌবাহিনীকে দেখতে পাই। ঈশ্বর এদেরকে ব্যবহার করে
মন্দকে দমন ও সীমিত করে চলেছেন। আর সবশেষে হলেও সবথেকে ক্ষুদ্র নয়, যে বিষয়কে
ঈশ্বর দিয়েছেন, তা হল, ঈশ্বর পৃথিবীতে
তাঁর মণ্ডলীকে স্থাপন করেছেন, যদিও তা পৃথিবী থেকে পৃথক। মণ্ডলী যখন ঈশ্বরের
পবিত্র বাক্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, তখন তাও মন্দের বিকাশকে হ্রাস করার কাজে অনেক
কাজ করে। এই সমস্ত কারণে, এই পৃথিবী নোহের জলপ্লাবনের পূর্বে যে মাত্রায় মন্দ ছিল,
এখন সেই মাত্রায় মন্দ নয়। আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু
এই সমস্ত পরিবর্তন প্রয়োগ করার পূর্বে কী কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা আমরা এই সমস্ত
অধ্যায়ে পাই। আমরা এমন কথা বলতে পারি, প্রথমে, মন্দকে পূর্ণ আকার লাভ
করতে ঈশ্বর অনুমতি দিয়েছিলেন, যেন পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা জানতে পারে, মানুষের
পাপ ও দুর্দশা কতখানি বাস্তব। আর আজ যখন আমরা পৃথিবীতে পাপের দমন সাধিত হওয়ায়
কৃতজ্ঞ হব, একইসঙ্গে, শাস্ত্রবাক্য থেকে, আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, মানুষ আমাদের
অন্তিম গতি প্রাথমিক অর্থে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বা ভয়াবহ। আসুন, আমরা একবার চিন্তা করে
দেখি, যুদ্ধে কত সহস্র সহস্র মানুষ মারা গেছে। তাদের বিষয় চিন্তা করি, যাদের উপর
অত্যাচার ও তাড়না করা হয়েছে। রোগব্যধির কারণে কত মানুষ কত কষ্ট ভোগ করেছে। সেই
সমস্ত অপরাধ ও দুর্দশার কথা চিন্তা করি, যা হল এর পরিণাম। সারা জীবন জেলে কাটাবার
সেই দুর্দশাকে একবার চিন্তা করি। এগুলি হল, সেই পৃথিবীর সেই সমস্ত দুঃখজনক বাস্তব, যে
পৃথিবীতে আজ আমরা বসবাস করছি। কিন্তু এগুলি হল, যে সমস্ত বিষয় হতে বাধ্য ছিল,
তাদের কিছু অংশ মাত্র। উদাহরণস্বরূপ, একটা ছোট শহরতলীর কথা চিন্তা করে দেখি। উপরে
উপরে দেখলে মনে হয়, সবকিছু শান্তিতে ও সুন্দরভাবে চলছে। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী
সমস্ত মানুষের কথা আমরা যদি জানতাম, তা হলে আমরা প্রায় প্রতিটি পরিবারে বিভিন্ন
মারাত্মক সমস্যার কথা আবিষ্কার করতাম। কোনও পরিবারে আছেন দুঃখ জর্জরিত কমবয়সী
বিধবা, কারণ সম্প্রতি তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। কিছু দূরে একটি পরিবারে আছেন
বিধ্বস্ত পিতামাতা, কারণ তাঁদের যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, সে মারাত্মক মানসিক
রোগগ্রস্ত। অন্য একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের দ্বারা ব্ছিন্ন হয়েছে।
অন্য একটি পরিবারে, তাদের সন্তানের বিদ্রোহী আচরণে পিতামাতার নিঃশ্বাস ফেলার সময়
নেই। তাই, এই প্রশ্নোত্তর, বাইবেলের অনুসরণে, আমাদের পাপ ও
দুর্দশার কথা বলে শুরু হয়েছে। হ্যাঁ, সত্য হল, মানুষের পরিণাম খুবই মারাত্মক। কিন্তু জানেন, যে বিষয়টি আমাদের আশ্চর্য করে, তা হল, অনেক
মানুষ এই সত্যকে স্বীকার করতে রাজি নয়। তাই তারা এই অপ্রিয় সত্যকে না স্বীকার করার
লক্ষ্যে অনেক কিছু করে থাকে। তাই তারা মদ খায়। তারা সারারাত ধরে পার্টি করে। তারা
ড্রাগ খায়। তারা টেলিভিশনের অবাস্তব জগতে ডুবে থাকতে চায়। কিন্তু এদের কোনটাই এই
অপ্রিয় সত্যকে পরিবর্তিত করতে পারে না। তাই, পরিশেষে আমাদের এক নম্বর প্রয়োজন হল, এই বাস্তব
পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া। তাই, ২ নম্বর প্রশ্নোত্তরের উত্তরে বলা হয়েছে, আমরা যদি
এর সমাধান পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে ৩টি বিষয় জানতে হবে। যে প্রথম বিষয় আমাদের
জানবার প্রয়োজন আছে, তা হল, সেই মারাত্মক পরিস্থিতি সম্বন্ধে অপ্রিয় সত্য। একবার
যদি আমরা এই সত্য উপলব্ধি করি, তা হলে আমরা উপলব্ধি করি, এর সমাধান যে অবশ্যই আছে,
তা আমরা দেখতে পাই। আর সেই সমাধান হল, প্রভু যীশুর দ্বারা সাধিত পরিত্রাণ কাজ। হাইডেলবার্গ প্রশ্নোত্তরের ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয় বলা
হয়েছে। এখানে এই প্রশ্নোত্তরের সংক্ষিপ্ত রূপরেখাকে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা যত এগিয়ে
যাব, বিষয়গুলি তত আমাদের কাছে পরিষ্কার হবে। কিন্তু তার আগে আসুন, আমরা ১ নম্বর
প্রশ্নোত্তর দেখি, যেখানে পরবর্তী সমস্ত বিষয়ের সারাংশকে আমরা দেখতে পাই। এখানে
প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘‘আপনার একমাত্র সান্ত্বনা কী?’’ এই প্রশ্নের মধ্যে আমরা একটি পূর্ব-ধারণাকে
দেখতে পাচ্ছি। আর সেই পূর্ব-ধারণাটি হল, আমরা দুর্দশাপূর্ণ পাপী, আর তাই আমাদের
সান্ত্বনা পাবার প্রয়োজন আছে। আর আমরা কোন পথে সেই সান্ত্বনা লাভ করি, তা ১ নম্বর
প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করা হয়েছে। আমাদের যে সান্ত্বনার প্রয়োজন,
তা আমরা সঠিকভাবে প্রভু যীশু খ্রীস্টের দ্বারা সাধিত কাজের মাধ্যমেই পেয়ে থাকি। আর
আমরা যখন তার অধিকারী হই, আমরা তখন তার জন্য নিশ্চিতভাবে এতখানি কৃতজ্ঞ হব যে,
আমরা যীশুর জন্য জীবন যাপন করতে ইচ্ছা করব। আসুন, আমরা বিষয়টিকে এইভাবে দেখি: এমন কী বিষয় আছে, যা
একজনকে খ্রীস্টবিশ্বাসী করে? তা কি এই বিষয় নয় যে, একজন খ্রীস্টবিশ্বাসী খাঁটি
সান্ত্বনার অধিকারী (যা আমাদের চারপাশে আমরা যে সমস্ত মিথ্যা সান্ত্বনাকে দেখতে
পাই, তা থেকে পৃথক)? আর সেই সান্ত্বনাটা কী? এর উত্তর দুটি বিষয়ের মধ্যে পাওযা যায়: আমার জন্য ইতিমধ্যে
যীশু কী করেছেন, এবং তিনি আমার জন্য ক্রমশ কী করে চলেছেন। পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে
আমরা এ সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব। এখানে আমরা কেবল সেই বিষয় দুটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা
করব। আমার জন্য খ্রীস্ট যে কাজ ইতিমধ্যে সাধন করেছেন, তা হল: তিনি আমাদের পাপের
মূল্য দিয়ে আমাদের কিনেছেন। সেই মূল্য যতদিন দেওয়া হয়নি, ততদিন আমরা শয়তানের কর্তৃত্বের
অধীন ছিলাম। কিন্তু একবার যখন সেই মুক্তিপণ পূর্ণ মাত্রায় দেওয়া হয়েছে, আমি আর
শয়তানের কর্তৃত্বের অধীন নই। বাইবেলে বিষয়টিকে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: ‘‘ভালো, সেই সন্তানরা যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি নিজেও সেই
মতো তার ভাগী হলেন, যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে, অর্থাৎ
দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন, আর যারা মৃত্যু ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাদেরকে
উদ্ধার করেন’’ (ইব্রীয় ২:১৪-১৫)। আমাদেরকে শয়তানের কর্তৃত্ব থেকে উদ্ধার করতে যীশু
খ্রীস্ট ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের সমস্ত দাবি পূর্ণ করেছেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, কারণ খ্রীস্ট এখন তাঁর সন্তানদের জন্য
ক্রমশ কাজ করে চলেছেন। তিনি স্বর্গ ও পৃথিবীতে সমস্ত বিষয়ের উপর কর্তৃত্ব করে
চলেছেন (মথি ২৮:১৮-২০)। আর যেহেতু ‘‘প্রভু বিশ্বস্ত,’’ সেইহেতু তিনি ‘‘তোমাদের
সুস্থির করবেন ও মন্দ থেকে রক্ষা করবেন’’ (২থিষলনীকীয় ৩:৩)। আমাদের চারপাশের
পৃথিবীর সমস্ত বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে এবং আমাদের মধ্যে বাসকারী পবিত্র
আত্মার শক্তির মাধ্যমে, তিনি তা করে চলেছেন। অর্থাৎ, মানুষের দুর্দশা মহৎ। কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীস্টের
কাজ তার থেকে মহত্তর। তাই, আমাদের দুঃখের মধ্যেও আমরা আনন্দ করতে পারি। তা আমি
করতে পারি, কারণ, আমার দেহে ও আত্মায়, এখন ও চিরকাল, আমি হলাম আমার পরিত্রাতা
যীশুর। (আমি আমার নই, আমি তাঁর কৃতধন)। তিনি আবার তাঁর অধিকার তাঁর প্রজাদের সঙ্গে
ভাগ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। আর সেই অধিকারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় আছে, তাদের প্রত্যেকটিকে
এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়, কিন্তু একটি বিষয়ের কথা এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে,
আর তা হল, মৃত্যু। আমাদের পরবর্তী পাঠ সকলে আমরা যেমন দেখতে চলেছি, খ্রীস্ট
মৃত্যুর উপর জয়লাভ করেছেন। আর এর কারণে, যদিও মানুষের জন্য একবার মৃত্যু
নির্দিষ্ট, কিন্তু সেই মৃত্যুতেও বিশ্বাসীদের জন্য মৃত্যুর হুলকে ভেঙ্গে ফেলা
হয়েছে। মৃত্যু যে ক্ষতি করার ক্ষমতার অধিকারী, সেই ক্ষতি মৃত্যু বিশ্বাসীদের প্রতি
করতে পারে না- যদিও তা এখন তাদের ক্ষতি করে থাকে, যারা এখনও যীশুকে পরিত্রাতা ও
প্রভু বলে বিশ্বাস করে না। আর যুগান্তে যখন আমাদের প্রভু ফিরে আসবেন, সেই মত্যুকেই
ধ্বংস করা হবে, যখন তিনি মৃতদেরকে কবর থেকে জীবিত করবেন ও তাঁর গৌরবে অংশ নিতে দেবেন।
অর্থাৎ, আমাদের পাপ এবং সেই পাপ যে সমস্ত পরিণাম আমাদের জীবনে এনেছিল, তাদের থেকে
আমাদের সম্পূর্ণ উদ্ধার করা হবে। এখন, যে ব্যক্তি এমন মহান পরিত্রাণ লাভ করেছে, সে
কি এমন পরিত্রাতার জন্য ‘জীবন যাপন করতে মনে প্রাণে ইচ্ছুক ও প্রস্তুত’ না হয়ে
থাকতে পারে? এর অন্যথা কি কখনও সম্ভব? আমরা হাইডেলবার্গ প্রশ্নোত্তর থেকে ক্রমশ শিখব, আর তাই
প্রার্থনা করি, ঈশ্বর যেন আমাদেরকে এই সত্য উপলব্ধি করতে ও এর অভিজ্ঞতা লাভ করতে
সক্ষম করেন।