HEIDELBERG CATECHISM_LORD'S DAY NO. 12_QUESTIONS 29~31~32
2019.10.16 15:32
প্রভুর দিন ১২ হাইডেলবার্গ প্রশ্নোত্তর ৩১। প্রশ্ন: তাঁকে কেন খ্রীস্ট, অর্থাৎ, অভিষিক্ত বলা হয়েছে? উত্তর: যেহেতু পিতা ঈশ্বরের দ্বারা তাঁকে নিযুক্ত করা
হয়েছে, এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা তাঁকে অভিষিক্ত করা হয়েছে, যেন তিনি আমাদের সেই প্রধান ভাববাদী ও শিক্ষক হন, যিনি আমাদের পাপ থেকে মুক্তির বিষয় ঈশ্বরের মন্ত্রণা ও ইচ্ছা
সম্পূর্ণভাবে আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন; এবং যেন তিনি সেই একমাত্র প্রধান যাজক হন, যিনি নিজেকে পাপার্থক বলি
হিসাবে উৎসর্গ করে আমাদের মুক্ত করেছেন, এবং আমাদের জন্য পিতার কাছে ক্রমশ
মধ্যস্থতার কাজ করে চলেছেন; এবং যেন তিনি আমাদের সেই অনন্ত রাজা হন, যিনি তাঁর বাক্য ও আত্মা দ্বারা আমাদের শাসন করেন এবং
আমাদের জন্য যে পরিত্রাণ অর্জিত হয়েছে, তাতে আমাদের পক্ষসমর্থন ও সংরক্ষণ করেন। ৩২। প্রশ্ন: কিন্তু আপনাকে কেন খ্রীস্টীয়ান (খ্রীস্টিবশ্বাসী) বলা হয়? উত্তর: কারণ আমি বিশ্বাস দ্বারা খ্রীস্টের একজন সদস্য, আর
তাই তাঁর অভিষেকে অংশগ্রহণকারী, যেন আমি তাঁর নাম স্বীকার করতে পারি, তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতার জীবন্ত বলি হিসাবে নিজেকে উপস্থিত করতে পারি, এই
জীবনে পাপ ও শয়তানের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দে ও সৎসংবেদে যুদ্ধ করতে পারি, এবং পরকালে
তাঁর সঙ্গে অনন্তকাল ধরে সমস্ত সৃষ্টির উপর রাজত্ব করতে পারি। শাস্ত্রপাঠ: যাত্রাপুস্তক ২৯:১-৯; ১শমূয়েল ১৩:১-১৪; রোমীয় ১২:১-৮ বাইবেল সম্বন্ধে একটি সাধারণ
জ্ঞান হল, বাইবেলের একটা বড়ো অংশ ভাববাদী, যাজক ও রাজাদের সম্বন্ধে বলে। আমরা
যখন বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলাম, তখন কি আমরা এলিয়, এলি কিংবা দাউদের বিষয়
কাহিনী দিয়ে শুরু করিনি? ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত রাজার নাম সম্পূর্ণভাবে মনে
রাখা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন কাজ। আর, বিভিন্ন মহাযাজকের নাম অধ্যয়ন হল আরও কঠিন কাজ। তবুও আমরা এদের মধ্যে কয়েক জনের নাম পুরাতন
নিয়ম থেকে জানি, যাদের অভিষিক্ত করা হয়েছিল। ভাববাদীদের মধ্যে আমরা চিন্তা করতে
পারি ইলিশা, যিরমিয় বা যিশাইয়কে। আবার যাজকদের মধ্যে হারোণ, অবিয়াথর,
এবং সখরিয়কে চিন্তা করতে পারি। আর রাজাদের মধ্যে দাউদ, শলোমন, কিংবা যোশিয়কে।
এখন, প্রশ্ন হল, বাইবেলে এদেরকে কেন এত বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে? কারণ হল, এইভাবে ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য আমাদের কাছে প্রকাশ করছিলেন। আমরা জানি, ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর প্রতিমূর্তিতে
সৃষ্টি করেছিলেন। এর অর্থ, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে কেবল মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেন সে ঈশ্বরের অনুকরণে চিন্তা করতে পারে (ভাববাদী)। কেবল তাই নয়, মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেন সে ঈশ্বরের দাস হিসাবে, পৃথিবীর উপর রাজত্ব করে (রাজা) এবং তার দ্বারা সমস্ত
বিষয় ঈশ্বরের গৌরবার্থে পবিত্র করে (যাজক)। কিন্তু ঈশ্বরের অনুকরণে চিন্তা করার অর্থ কী? তা ভাববাদীর
ন্যায় কাজ করা নয় কি? কারণ, ভাববাদী হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ঈশ্বরের সত্য
কথা মানুষদের কাছে পৌঁছে দেন। আর ঈশ্বরের দাস হিসাবে রাজত্ব করার অর্থ
কী? তার অর্থ কি রাজা হিসাবে কাজ করা নয়? একইভাবে, ঈশ্বরের উদ্দেশে সমস্ত
বিষয় পবিত্র করার অর্থ হল, একজন যাজকের কাজ। তাই, এই কথা কখনও অতিরঞ্জন নয় যে, মানুষকে যখন সৃষ্টি করা
হযেছিল, তখন সে একজন ভাববাদী, যাজক ও রাজা হয়ে কাজ করবে বলে, তার কাছে আশা করা হয়েছিল। হয়ত, মানুষ যদি পাপে পতিত না হত, তার কাছে এই সমস্ত
কাজ এতখানি স্বাভাবিক হত যে, তাদেরকে পৃথক করার কোনো প্রয়োজন হত না। হয়ত, এই সমস্ত নামে কোনো
বিশেষ পদেরও প্রয়োজন হত না। কিন্তু মানুষ পাপ করেছে, আর তাই ঈশ্বর এই
সমস্ত বিশেষ পদ তৈরি করেছেন, যেন তিনি দুটি বিষয় শিক্ষা দিতে পারেন। প্রথমটি হল, পাপে পতিত মানব-প্রকৃতির সম্পূর্ণ
পাপময়তা ও অক্ষমতা। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হল, আমাদের কেমন পরিত্রাতার প্রয়োজন।
যখনই ঈশ্বর পুরাতন নিয়মে একজন বিশ্বস্ত ভাববাদী, যাজক কিংবা রাজাকে তুলেছেন, তখনই তার দ্বারা তিনি প্রকাশ করেছেন, তিনি একদিন মুক্তিদাতা
খ্রীস্টে, নিখুঁত আকারে কী কী বিষয় দিতে চলেছেন। আর একইসঙ্গে,
যখনই আমরা কোনো অবিশ্বস্ত
ভাববাদী, যাজক বা রাজাকে দেখেছি, তখন তার দ্বারা ঈশ্বর আমাদের কাছে যে বিষয়টি পরিষ্কার
করেছেন, তা হল, কোনো পাপপূর্ণ মানুষই ঈশ্বরের নিখুঁততার দাবি পূর্ণ করতে সক্ষম নয়। তাই, মানুষের প্রত্যেক ব্যর্থতা হল, প্রতিজ্ঞাত মশীহকে পাঠানোর জন্য
ঈশ্বরের কাছে কাকুক্তি।
এমনকী পুরাতন নিয়মের ভাববাদী, যাজক ও রাজাদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ ছিল, তারাও নিখুঁততা থেকে মারাত্মক দূরবর্তী ছিল, এবং তার দ্বারা তারাও স্বর্গ থেকে প্রেরিত পরিত্রাতার প্রয়োজন দেখিয়ে দিয়েছে।
তাই, খ্রীস্ট যখন পরিশেষে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তখন তিনি নিজেকে দেখেছিলেন, যেমন
তাঁর অনুপ্রাণিত প্রেরিতশিষ্যরাও দেখতে পেয়েছিল, পুরাতন নিয়মের শ্রেষ্ঠ ভাববাদী, যাজক ও রাজাদের মধ্যে যে
সমস্ত বিষয় সীমিত মাত্রায় দেখা গিয়েছিল, সেগুলি তাঁতে পূর্ণ হয়েছিল। চূড়ান্ত
অর্থে, প্রভু যীশু খ্রীস্ট হলেন চূড়ান্ত ভাববাদী,
চূড়ান্ত যাজক এবং অনন্ত রাজা। অন্য মানুষদের থেকে পৃথক করে যাজকের পদে কিছু মানুষকে যেভাবে পুরাতন নিয়মে
নিযুক্ত করা হত, আজকের দিনে
আমাদের মধ্যে এমন কোনো যাজক নেই। একইভাবে, আজকের দিনে খ্রীস্টীয় মণ্ডলীতে বংশ পরম্পরায় রাজাদেরও আামরা দেখতে পাই না। কেন? কারণ, খ্রীস্ট হলেন দাউদের চূড়ান্ত সন্তান, যাঁকে চিরকাল রাজত্ব করার
জন্য পাঠানো হয়েছিল। পুরাতন নিয়মের সময়কার এই ৩টি পদ প্রভু যীশু খ্রীস্টের ব্যক্তিত্বে একসঙ্গে
অবস্থান করেছে। যীশু খ্রীস্টের ব্যক্তিত্বে তাদের পূর্ণতা ঘটেছে। এই সত্যকে প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর গতিপথ দ্বারা বর্ণনা করা সম্ভব। সূর্যের
আলো যখন একটি প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন তা বর্ণালির বিভিন্ন রং-এ বিভক্ত হয়। কিন্তু আমরা যদি
সেই বর্ণালিকে পুনরায় একটি উল্টো
প্রিজমের মধ্য দিয়ে পাঠাই, তা হলে, সেই সমস্ত রংকে পুনরায় এক জায়গায় জড়ো
করা সম্ভব। ঈশ্বরের প্রতিমূর্তির প্রতি এমনই ঘটেছে। মানুষের পাপে পতনের পর, পাপে পতিত
ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিদের আসলে
কেমন হওয়া উচিত ছিল, তা ঈশ্বর প্রদর্শন করতে শুরু করেন। পুরাতন নিয়মের ইতিহাসের বিভিন্ন অভিষিক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে
তিনি তা সাধন করেন। আর শেষে, যখন মশীহ এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তখন ঈশ্বরের প্রকাশের "মেঘধনুর
বিভিন্ন রংকে" ঈশ্বর মশীহের
চরিত্রে একত্রিত করেছিলেন। মহত্তম বা শ্রেষ্ঠ অভিষিক্ত ব্যক্তি (মশীহ)
হিসাবে তিনি জগতের আলো
হয়েছিলেন। আর এখানেই আমরা দেখতে পাই, হাইডেলবার্গ প্রশ্নোত্তর আমাদের কত
বিষ্ময়কর উপলব্ধি দিয়ে থাকে, কারণ তা আমাদের সেই সত্য স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা খ্রীস্টের অভিষেকে অংশ নিয়ে
থাকি। অবশ্য, এর অর্থ এই নয় যে, প্রত্যেক খ্রীস্টীয়ান সমান পরিমাণে তাঁর অভিষেকে অংশ নেয়। যোহন ৩:৩৪ পদে, আমাদেরকে
স্পষ্ট বলা হয়েছে, খ্রীস্ট আত্মাকে পরিমাণ-পূর্বক
পাননি।
কিন্তু খ্রীস্টীয়ান বা খ্রীস্টবিশ্বাসীরা
পরিমাণ-পূর্বক পেয়ে থাকে, কারণ পৌল এমন কথা বলেছেন, "খ্রীস্টের দানের
পরিমাণ অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে" (ইফিষীয় ৪:৭)। এখানে আমরা
দেখতে পাচ্ছি, প্রভুর সঙ্গে
আমাদের পার্থক্য আছে। তবুও, আমাদের অবাক হবার বিষয়টি হল, পরিত্রাতার আগমনের পূর্বে যারা বসবাস করেছে, কয়েকটি বিষয় তাদের থেকে আজকের দিনে বসবাসকারী খ্রীস্টবিশ্বাসীদের পার্থক্য
করে। আর তা হল, প্রত্যেক
খ্রীস্টবিশ্বাসী আজ এই ৩টি পদেই অংশ নিয়ে থাকে। হ্যাঁ, এই সত্য সামান্য খ্রীস্টবিশ্বাসীর প্রতি
পর্যন্ত সত্য। কারণ, একদা প্রভু যীশু এমন কথা বলেছেন, "আমি
তোমাদের সত্য বলছি, স্ত্রীলোকের গর্ভজাত সকলের মধ্যে যোহন বাপ্তাইজক থেকে মহান কেউই উৎপন্ন হয়নি,
তবুও স্বর্গ-রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র যে ব্যক্তি, সে তাঁর থেকে মহান" (মথি
১১:১১)। এখন, এই বিবৃতির অর্থ
কী? এর অর্থ, অবশ্যই এই কথা নয় যে, আজকের দিনের প্রত্যেক
খ্রীস্টবিশ্বাসী যোহন বাপ্তাইজকের থেকে বেশি সৎ বা বিশ্বস্ত। আমরা যদি সত্য স্বীকার
করি, তা হলে, আমাদের মধ্যে কেউই নিজেদের বিষয় এমন দাবি করব না। না, তার পরিবর্তে,
আমাদের প্রভু এখানে যে কথা বলেছেন, তা হল, পরিত্রাণের ইতিহাসে এখন সেই সময় উপস্থিত হয়েছে, যখন পরিশেষে,
আমরা আমাদের পরিত্রাতার
সঙ্গে এই ৩টি সমস্ত পদে অংশ নিয়েছি। যোহন বাপ্তাইজক কিন্তু তা করতে পারেননি। পুরাতন নিয়মের সময়ে, যদি কোনো রাজা যাজকের কাজে অংশ নিত,
তা হলে, তাকে মহা পাপ
জ্ঞান করা হত (দেখুন, ১শমূয়েল ১৩:১-১৪)। আমাদের বর্তমান
পরিস্থিতি যে কত
সুবিধাজনক, তার কয়েকটি উদাহরণ আমরা চিন্তা করতে পারি। যীশু খ্রীস্টের
দ্বারা সাধিত পরিত্রাণ
কাজের পরিণামকে আমরা চিন্তা করব। বাইবেলে আমরা ঈশ্বরের পূর্ণ বাক্য লাভ করেছি।
আর তা হল এমন বিষয়, পুরাতন নিয়মের কোনো ভাববাদীই যার অধিকারী ছিলেন না। আবার আমরা এখন সাহসের সঙ্গে আমাদের স্বর্গীয় পিতার কাছে উপস্থিত হবার
বিশেষ অধিকার পেয়েছি (ইব্রীয় ৪:১৬)। ইস্রায়েলের মহাযাজক পর্যন্ত কখনও
তা করতে পারত না। তিনি কেবল বৎসরের মধ্যে একবার মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করতে
পারতেন। আর আমরা, যখন ইচ্ছা তখন, তাঁর কাছে উপস্থিত হতে পারি, যদি আমরা খ্রস্টের যোগ্যতায় ও তাঁর মধ্যস্থতায়
ঈশ্বরের কাছে আসি। আর আমাদের রাজকীয় পদের বিষয় আমরা কী বলব? পুরাতন নিয়মের সময়, ইস্রায়েলের
রাজারা খুবই ছোট্ট একটি জাতি, তথা ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করত। কিন্তু ঈশ্বরের
গৌরব ও সমাদরের জন্য সমস্ত
পৃথিবীর উপর রাজত্ব করতে আমাদের আহ্বান করা হয়েছে (মথি ২৮:১৮-২০; রোমীয়
১৬:২০; ১করিন্থীয় ১৫:২৫-২৮)। আর তাই, আমরা অবাক হই না, যখন পিতরকে এমন কথা বলতে
শুনি, আমরা "মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, ঈশ্বরের নিজস্ব
প্রজাবৃন্দ" (১পিতর ২:৯)। আর
এই সমস্ত কথা আমাদের প্রতি যে কারণে সত্য, তা হল, আমরা সত্যিই খ্রীস্টের অভিষেকে অংশ নিয়েছি। এই কারণে, সংস্কারপন্থী
খ্রীস্টবিশ্বাসীরা সর্বদা যে বিষয়ে জোর দিয়েছেন, তা হল, একমাত্র খ্রীস্টই হলেন মণ্ডলীর সর্বোচ্চ শাসনকারী। তাঁর অধীনে কোনো সামান্য মানুষ (যেমন পোপ) অন্য
লোকদের উপর প্রভুত্ব করতে পারে না। তবুও, মণ্ডলী শাসনের ক্ষমতায়, আমাদের প্রত্যেকেরই অংশ আছে
(মথি ১৮:১৫-১৮ পদ চিন্তা করুন)। এই কারণে, সংস্কারপন্থী খ্রীস্টবিশ্বাসীরা মণ্ডলীর
মধ্যে কোনো বিশেষ পালকীয় পদের চিন্তাকে (পুরাতন নিয়মের সমান্তরালে) বর্জন করে। আমরা বিশ্বাসীদের যাজকত্বে
বিশ্বাস করি, যেখানে আমাদের একমাত্র মহাযাজক, খ্রীস্টের মধ্যস্থতার মাধ্যমে, আমরা সকলেই একে অন্যের জন্য মধ্যস্থতার
প্রার্থনা করার মহা অধিকারে অধিকারী। আর এটা হল কেবল শুরু মাত্র! কারণ, মশীহের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থেকে ও তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে, আমরা সর্বদা ভাববাদী,
যাজক ও রাজা হয়ে থাকব। তাঁর সঙ্গে আমরা অনন্তকাল ধরে এই ৩টি পদে অংশ নেব। তাই, 'খ্রীস্টবিশ্বাসী' এই নামের মাধ্যমে, খ্রীস্টের নাম বহন করা কত বিষ্ময়কর ও সুন্দর বিষয়! কারণ,
খ্রীস্টীয়ান এই নামের অর্থ, আমরা তাঁর অভিষেকে অংশগ্রহণকারী!